ভেঙ্গে পড়েছে শেবাচিমের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
দুই সহযোগী অধ্যাপকের পুনর্বহালের দাবিতে শেবাচিম শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন যে কারণে বাবরের মুক্তি এখনই নয় ক্যানসার প্রতিরোধী টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া, বিনামূল্যে বিতরণের ঘোষণা জিয়াউল আহসানের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক, যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ৪: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লাকুটিয়া খাল পরিস্কারের পরও জনদুর্ভোগ, উদাসীন সিটি কর্পোরেশন বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, ২ দালাল আটক বরিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের মৃত্যু, অক্ষত শিশু কন্যা অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল




ভেঙ্গে পড়েছে শেবাচিমের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

ভেঙ্গে পড়েছে শেবাচিমের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা




নিজস্ব প্রতিবেদক:  দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র উন্নত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। প্রতিদিন শত শত মানুষ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এই হাসপাতালে আসেন উন্নত চিকিৎসা জন্য। তবে অভিযোগ রয়েছে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বর্তমানে সেবার পরিবর্তে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ চিকিৎসা প্রার্থীরা।

খাবার থেকে শুরু করে ঔষধ চুরি,রোগী ও তার স্বজনদের সাথে ডাক্তার ও নার্সের দুর্ব্যবহার, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদে পদে বকশিস,সেবার নামে অর্থ-বাণিজ্য এখন শেবাচিমকে একটি পঙ্গু প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। সূত্র জানায়,শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টারকে মোটা টাকা বকশিস দিয়ে ঝাড়দাররা করছে আয়ার কাজ। বিগত ২৪ বছর ধরে হাসপাতালে ঝাড়–দার পদে কর্মরত থাকা তহমিনা বেগম ওরফে মিনু বর্তমানে গাইনি অপারেশন থিয়েটারে মাথায় মাস্ক পরিধান করে আয়ার কাজ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অপারেশন থিয়েটার এর মধ্য থেকে সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওযা শিশুকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এসে স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের বকশিশ আদায় করে মিনু। বকশিশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নবজাতককে জিম্মি করে যে কোনোভাবেই টাকা আদায় করাই হলো তার মূল র্টাগেট। মিনুর ছেলে আবুল কালাম ও একজন ঝাড়–দার।

কিন্তু সেও ফুলবাবু সেজে গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে সারাদিন পরিচালকের দপ্তর এর মধ্যেই অঘোষিত পিএস হিসেবে নিজেকে জাহির করে অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে রোটেশন এর নামে হাতিয়ে নেয়া বিপুল পরিমাণ টাকা। এম এল এস এস রাশিদা বেগম গাইনি ওটিতে নিজেকে আয়া পরিচয় দিয়ে মিনুর মতই অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।

অপরদিকে শেবাচিমের সাবেক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাহেব আলীর পুত্র মিলনও একজন এম এল এস এস হয়ে ওয়ার্ড মাস্টার এর রুমে কম্পিউটারের কার্জের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোটেশন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ বিষয়ে শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম বলেন, মিনুকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করে দিন।

আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর তার ছেলে ঝাড়–দার হলেও পরিচালকের পছন্দের ব্যক্তি। তাই আমার বলার কিছু নাই। তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। আর এম এল এস এস মিলনের ব্যাপারে তিনি বলেন,সে কম্পিউটার টাইপিং পারে বিধায় তাকে দিয়ে আমি কাজ করাই। এটা আইন সম্মত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে চুপ থাকেন রাশেদুল ইসলাম।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD